আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:- গাইবান্ধায় লঘুচাপের কারণে গত দু’দিন থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সাথে হিমেল হাওয়া বইছে। টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার জনজীবন।
দিনের বেলায় মিলছে না সূর্যের দেখা। নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রকৃতির কাছে হাড় মানতে হচ্ছে। যার কারণে সংসারে তাদের দেখা দিয়েছে অভাব ও অনাটন।
লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শহরে চলাচল করা অফিসগামী ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের।
বেশি বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এমনিতে করোনার কারণে আর্থিক মন্দা অপর দিকে দু’দিনের বৃষ্টি এ যেন মরার উপর, খারার ঘাঁ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় ২১ অক্টোবর বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ভ্যাপসা গরম কমে শীতের আবাস দেখা দিয়েছে।
রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজারের জিনিস পত্রের দামও।
শীতকালীন সবজি চাষের মুখ্যম সময় হলেও টানা বৃষ্টির কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে সবজি চাষ। আগাম আলু চাষে চরম দুর্ভোগে পড়বে আলু চাষিরা। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে না রিক্সা ও ভ্যান।
অনেকে আবার গা ভিজে হেঁটেই যাচ্ছে বাড়িতে। আবার বাড়ি থেকে বের না হতে পারায় যাত্রী কমেছে গণপরিবহনের। বৃষ্টির কারণে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালনে অসুবিধায় পরেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টির মধ্যদিয়ে ৬ষ্ঠী শুরু হয়েছে। দর্শনার্থী কমেছে পূজা মন্ডপে। আজ মহা অষ্টমী (কুমারী পূজা), দশমির দিনও একই অবস্থা থাকলে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানান গাইবান্ধার পূজা উৎযাপন কমিটি।
পলাশবাড়ী পৌরশহরের এক রিক্সাচালক বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর ও সর্দি ধরেছে।
মাঠের সবুজ ধান ক্ষেত, চাগাছ ও সবুজ ঘাস থেকে শিশিরের ঝরে পড়া, হঠাৎ বৃষ্টি আর হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
সেই সাথে রাস্তাঘাট এবং মাঠ-প্রান্তরে সকালের রূপ বদলাতে শুরু করেছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই শীতকে বরণ করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই আলমারি থেকে শীতবস্ত্র বের করে রোদে মেলে দিচ্ছেন।
গায়েও চাপিয়েছেন কেউ কেউ। সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শীত পড়ে। কিন্তু এবার আগেভাগেই শীত এসে গেছে। বিকালের পর হিমেল হাওয়া বইছে। অনেকেই লেপ, কাঁথা, কম্বল বের করেছেন।
বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের শেষ রাতে ব্যবহার করতে হচ্ছে শীতের কাপড়।